• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

শরীয়তপুরে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের কাছে রোগীরা জিম্মি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ নভেম্বর ২০২২

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ শরীয়তপুর আধুনিক সদর হাসপাতালে এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভারদের স্বেচ্চাচারিতা ও চাদাঁবাজির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর মিয়া ও শরীয়তপুর এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি সভাপতি আবদুল হাই এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছে সাধারন মানুষদের। সরকারী এ্যম্বুলেন্স বিভিন্ন অযুহাতে ব্যবহার না করে নিজেদের প্রাইভেট এ্যম্বুলেন্স দিয়েই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। বাইরে থেকে কোন এ্যম্বুলেন্স আসলে তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে এ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে একটি ওডিও ফোন রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। তবে হাসপতালের তত্বাবধায়ক বলছেন, বিষয়টি তার জানা নেই। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন বলেন, তাকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাগদি গ্রামের শাহ আলম সরদারের ছেলে আল—আমিন সরদার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে (২৫০ শয্যার কাজ চলমান)রয়েছে একটি মাত্র সরকারী এ্যাম¦ুলেন্স। তার বাইরে গড়ে ঊঠেছে একটি প্রাইভেট এ্যম্বুলেন্স সিন্ডিকেট। আর এ এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের স্বেচ্ছাচারিতা ও চাদাঁবাজির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শরীয়তপুর জেলার সাধারন মানুষ। শরীয়তপুর এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতি নামের এ সংগঠনের লোকজন এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছে সাধারন মানুষদেরকে । সরকারী এ্যম্বুলেন্স বিভিন্ন অযুহাতে ব্যবহার না করে নিজেদের প্রাইভেট এ্যম্বুলেন্স দিয়েই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে থেকে কোন এ্যম্বুলেন্স আনলে তাদের দাবী কৃত টাকা না দিলে এ্যাম্বুলেন্স আটকে রোগীসহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরোদ্ধে । গত ১৮ নভেন্বর শুক্রবার রাতে এ নিয়ে একটি ওডিও ফোন রেকর্ড হয়। সেটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে শরীয়তপুর জেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই এক রোগীর স্বজন ও এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারের কাছে ১৫ শ টাকা চাদাঁদাবী করছেন। স্ট্যান্ডে লোকজন আছে সেখানে ১৫ শ টাকা দিয়া যেতে হবে। আমাদের স্ট্যান্ড যেভাবে চলছে সে ভাবেই চলবে । আপনি ১৫ শ টাকা দিয়ে চলে যান। এরপর ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আসে এবং তারা পালিয়ে যায়।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাগদি গ্রামের আল— আমিন সরদার বলেন, আমার নিজের এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আমার মামা হাতেম ঢালীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সামনে দিয়ে ঢাকা নেয়ার সময় শরীয়তপুর জেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই ১৫ শ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাদাঁর টাকা না দেওয়ায় তারা একঘ›া মুমুর্ষ রোগী সহ এ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখে। পরে ১৫ শ টাকা দিয়ে গাড়ী ছেড়ে দেয়।
শরীয়তপুর জেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই বলেন , আমার সাথে যে ফোন কলে কথা হয়েছে। তারা ঢাকাতে আমাদের এ্যাম্বুলেন্স গেলে ১৫ শ টাকা করে রেখে দেয় । সে কারনে আমরা ও তাদের কাছ থেকে ১৫ শ টাকা রেখে দিয়েছি । আমাদের স্ট্যান্ডের নিয়ম বাইরের কোন এ্যম্বুলেন্স আসলে তাদেও ১৫শ টাকা দিয়ে যেতে হয়।
শরীয়তপুর সদর হাসপতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুস সোবহান বলেন, এ ঘটনাটি আমি শুনিনি। বিষয়টি আমি দেখবো। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবু হাদী মোঃ শাহ পরান বলেন, আমাকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

 


মোঃ আবুল হোসেন সরদার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
তারিখ ২২—১১—২২

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads